Kaghey under Kalimpang Sunset |
সম্পূর্ণ এই নিবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারবো
কালিম্পঙ জেলার কাগে, অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
Night View of Kaghey , Kalimpang |
কালিম্পং জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম সমূহ
বার্মিক (Barmik)
কালিম্পং জেলার ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম বার্মিক। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ বেয়ে, তিস্তার খামখেয়ালিপনা আর অভিভাবকবেশী পাহাড়গুলোর শাসন দেখতে দেখতে সাড়ে তিন ঘন্টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে পৌছে যাবেন ইচ্ছেগাওঁ এর খুব কাছে অবস্থিত এই গ্রাম এ। পাহাড়ি রোদ্দুর গায়ে মেখে, পাইনের দলের অতীন্দ্র প্রহরায়, রঙবেরঙের পাহাড়ি ফুলগুলোর মিষ্টি রূপ দেখতে দেখতে যাত্রাপথ হয়ে উঠবে আরো মনোরম।
সফ্টড্রিংক ড্রিংক গ্রহণ করার পর বোতল ফেলে দিচ্ছেন? পেতে পারেন স্মার্টফোন।
গ্রামটির চারিদিকে সবুজ বনানী পরিহিত পাহাড়ের সারি আর তাদের তলদেশ জড়িয়ে সর্পিল ভঙ্গিতে এগিয়ে চলা তিস্তার রূপ এনে দেয় মানসিক প্রশান্তি। বরফের চাদর মুড়ি দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার উঁকি, নাম না জানা পাখিদের কলকাকলি আর মাথা তুলে সগর্বে দাড়িয়ে থাকা পাইনের দল মুছে দেবে মনে জমে থাকা সমস্ত গ্লানি। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ঘরে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য এর সাক্ষী হতে পারবেন। পাবেন নির্ভেজাল বাতাসে প্রাণ ভরে শ্বাসবায়ু সংগ্রহ করার সুযোগ। ঘরে বসে উপভোগ করতে পারবেন মেঘ, পাহাড়ের অন্ত:রঙ্গ সখ্যতা।
নতুন
চমক - কেদারনাথে সোনায় বাধানো
গর্ভগৃহ
শিলিগুড়ির
কাছে টুকরিয়া পর্যটনের নতুন
দিশা
মা
কালির বিভিন্ন রূপভেদ
পাহাড়ি সরল সাদাসিধে মানুষগুলোর উষ্ণ অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন আর নিজেদের ক্ষেতের সব্জি দিয়ে তৈরী ঘরোয়া রান্না ভাল করে দেয় শরীর ও মন। নিজের এলোমেলো, অগোছালো মনটাকে একটু গুছিয়ে নিতে চলে আসতে পারেন এখানে।
বার্মিক কিভাবে আসবেন?
শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সরাসরি গাড়ি নিতে পারেন হোমস্টে অবধি ( চার জনের ছোট গাড়ি ভাড়া নেবে 3500 টাকা) অথবা শেয়ার গাড়ি বা বাস এ করে চলে আসতে পারেন কালিম্পঙ (ভাড়া 200 টাকা জনপ্রতি)। কালিম্পঙ এর সি কে চক থেকে ইচ্ছেগাওঁ / বার্মিক এর শেয়ার গাড়ি আপনাকে পৌছে দেবে গন্তব্যে (ভাড়া 100 টাকা জনপ্রতি)।
বার্মিক থেকে কোথায় কোথায় ঘোরা যেতে পারে?
এখান থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে পারবেন:
১) জলসা বাংলো ভিউ পয়েন্ট, রামধুরা, রমতে ভিউ পয়েন্ট, দারাগাওঁ, ডেলো পার্ক, মরগ্যান হাউস, দুর্পিন মনস্ট্রি, ক্যাকটাস গার্ডেন, দেওরলিদারা, হনুমান দেউল (চার জনের ছোট গাড়ির ভাড়া 2500 টাকা)
২) লাভা, ললেগাওঁ, রিশপ, টিফিনদারা, ১৭ মাইল ভিউ পয়েন্ট, কোলাখাম, ছাঙ্গে ফল্স, নেওড়া ভ্যালি (চার জনের ছোট গাড়ির ভাড়া 3500 টাকা)
৩) সিল্করুট: পদমচেন, জুলুখ, ঋষিখোলা, আরিটার, রোলেপ, মইরুঙগাঁও। (চার জনের ছোট গাড়ির ভাড়া 3500 টাকা প্রতিদিন)
৪) পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারবেন সিলোরিগাওঁ, ইচ্ছেগাঁও, বার্মেক গুম্ফা, বার্মেক প্লে গ্রাউন্ড।
রায় দারা
কালিম্পং শহর থেকে 28 কিলোমিটার ও শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র 60 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পাহাড়ি ছোট্ট অফবিট গ্রাম। পুরো গ্রামে বসবাস করেন মাত্র 56 টি পরিবার, গ্রামটির আয়তন প্রায় 4 বর্গকিলোমিটার। এখানে পাইন এর জঙ্গল ঘেরা এই গ্রামটিতে চলার পথে ময়ূর, হরিণ, বুনো কাঠবিড়ালী দেখতে পাওয়া যায়।
এখানকার মূল আকর্ষণ হলো এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার পুরো রেঞ্জ দেখা যায়, আর রাতের বেলা দেখা যায় কালিম্পং শহরের নেকলেস ভিউ।
এখানে থেকে লাভা, রিশপ, লোলেগাঁও, চারখোল, সামথার, পানবু, পাবঙ, ডেলো, দুরপিন দাঁড়া, কালিম্পং শহর, সিনজি, সেলফি দাঁড়া, তিস্তা পাওয়ার ড্যাম, করোনেশন এই গুলো সব ঘুরে নেওয়া যেতে পারে।
এই যুগে মহাপুরুষ মনীষীদের কিছু দরকারী বাণী এবং কেন প্রয়োজন |
মাধ্যমিক পরীক্ষা: জেনে নিন ২০১৫ সাল থেকে কারা প্রথম স্থান পেয়েছে
বাংলার উৎসব : কোচবিহারের রাস এক অভিনব উচ্ছাস
পেডং
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে সড়কপথে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৩ ঘণ্টায় পেডং পৌঁছানো সম্ভব। কালিম্পং হতে ২০ কিলোমিটার পূর্বে লাভা যাওয়ার পথে ১,২৪০ মিটার (৪,০৭১ ফিট) উচ্চতায় অবস্থিত। পেডং শহরটি একটি শৈলশিরায় অবস্থিত যেখান থেকে কাঞ্চনজংঘা এবং হিমালয় পর্বতের দিগন্তবিস্তৃত দৃশ্য উপভোগ করা যায়। শহরটি দুটি অংশে বিভক্ত, উচ্চতর পেডং এবং নিম্নতর পেডং। পেডং ঐতিহাসিক রেশম পথে অবস্থিত যা কিনা জেলেপ লা গিরিপথ হয়ে ভারতকে লাসার সাথে সংযুক্ত করে।
পাহাড়ের অফবিট জায়গা গুলোতে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা শেষ কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে, তার সাথে সঙ্গতি রেখেই পেডং এর জনপ্রিয়তাও প্রকৃতি ও পাখি প্রেমিদের কাছে তুঙ্গে। পেডং পক্ষীকুলের বৈচিত্র সমৃদ্ধ একটি স্থান। হিমালয় অঞ্চলের এবং সমতল ভূমির বিভিন্ন পাখি প্রজাতি পেডং-য়ে বিচরণ করতে দেখা যায়। সঙ্গে প্রকৃতির নৈসর্গিক নিস্তব্ধতা মুগ্ধ করবেই। অনেকেই কোলাহল থেকে দূরে এই নিরিবিলি স্থানে দু-তিন দিন কাটিয়ে যাচ্ছেন দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে।
এখান থেকে ঘুরে পেডং শহরের নিকটবর্তী গ্রামগুলো সাক্যং, কাস্যং, দালেপ, কাগেই, উচ্চতর মেঞ্চু এবং নিম্নতর মেঞ্চু।
লিটিল ট্রিপস পেডং হোমস্টেতে থাকা ও খাওয়ার খরচ- 1200 - 1500 জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ।
পেডং এর সামান্য ইতিহাস :
এই শহরের আর একটি মূল আকর্ষণ হল ক্রস হিল, যা কিনা পুরোহিত ফাদার অগাস্টিন ডেসগডিনস ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে তিব্বতে যাওয়ার পথে স্থাপন করেছিলেন। তিব্বত মিশনে প্রচুর প্রচারক প্রাণ হারিয়েছেন বা কখনও তিব্বত থেকে আর ফিরে আসেননি। তাদের স্মরণে ফাদার অগাস্টিন ডেসগডিনস এই আশা নিয়ে তিব্বত সরাসরি দৃষ্টিগোচর হয় এমন একটি স্থানে একটি ক্রস স্থাপন করেছিলেন যে কোনও দিন প্রচারকেরা হয়তো ফিরে আসতে পারেন। এটির অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয় এবং এটি স্থানীয় খ্রিস্টানদের নিকট একটি তীর্থস্থান। ক্রস হিল এমন একটি স্থানে অবস্থিত যেখান থেকে মুখোমুখি পর্বতগুলির দুর্দান্ত দৃশ্য অবলোকন করা যায়। এখান থেকে তিব্বত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনা সীমান্তের রূপ এক ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। এটি নিখুঁত সূর্যাস্ত পরিদর্শনের একটি উত্তম স্থান।
পেডাংয়ের সন্নিকটে লেপচাদের দ্বারা ১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত ঐতিহাসিক দুর্গ দামসং গাদির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। দামসাং দুর্গ (দামসং গাদি) পুরো দার্জিলিং জেলার একমাত্র দুর্গ। এটি সর্বশেষ লেপচা রাজা- গ্যাবো আচুকের বাসস্থান ছিল কারণ লেপচারা এই জায়গার আসল আদি অধিবাসী।
সাংচেন দোর্জি মঠটি পেডাং-কালিম্পং অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মঠ এই মঠটি ১৭০০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রধান কক্ষের অভ্যন্তরীণ দেয়ালে সাংচেন দোর্জি গুম্বা নামে খ্যাত এক বিশিষ্টজনের দেয়ালচিত্র অঙ্কিত রয়েছে যা তন্ত্রিক বৌদ্ধধর্মকে চিত্রিত করে। গুম্ফা ডান্স (ছায়াম নাচ) বা বৌদ্ধ মুখোশ-নৃত্য এখানে প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়।
সামথার ও লামাদারা
কালিমপং জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম সামথার আর এখানেই লামাদারা অবস্থিত। খুব সুন্দর একটি জায়গা লামাদারা যেখান থেকে ডুয়ার্স এর তরাই থেকে সূর্যোদয় আর অপর দিকে মন মুগ্ধ কাঞ্চনজঙ্গা দেখা যায়।
সামথার ও লামাদারা কি ভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে ২.৫ ঘন্টা যাত্রা করে লামাদারা পৌঁছে যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকে কালিমপং যাওয়ার রাস্তা ধরে সেবক পেরোনোর পর কালিঝোরা আসবে। কালিঝোরা তে তিস্তা নদীর উপরে ড্যাম দিয়ে লামাদারা সামথার আসতে হবে। এই পথে প্রথমে পানবু, ইয়াং মাকুম তারপর সামথার আসবে। রাস্তা টাও বেশ ভালো, তবে বুকিং কোরে না আসলে কালিঝোরা ড্যাম দিয়ে সিকিউরিটি আসতে দেবে না।
লামাদারা তে কোথায় থাকবেন? 🏠
লামাদারা হোমস্টে তে থাকার শুধু ব্যবস্থা আছে। গাড়ি হোমস্টে পর্যন্ত যায় সুতরাং হাঁটার কোনো ব্যাপার নেই। লামাদারা হোমস্টে একটি প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি হোমস্টে যেখানে সব রকম সুবিধা দেওয়া হয়েছে গেস্ট দের। এখানে ১১ টি কটেজ আছে পুরো পাইন উড ফিনিশিং। একটি কটেজ এ একটি বেড আছে যেখানে ২-৩ জন অনায়াসে ঘুমোতে পারেন। লামাদারা লন থেকে খুব সুন্দর সূর্যোদয় আর ডুয়ার্স এর তরাই অঞ্চল টা দেখা যায়।এখানে বসেই সময় কাটাতে পারেন।
সামথার ও লামাদারা থেকে কোথায় ঘুরবেন? 🚶🚶♀️
ঘোড়ার প্রচুর জায়গা আছে যেমন পানবু, সিনজি, যুগে ঝর্ণা, নকদাড়া, ডাবলিং। লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ ও ঘুরে আসতে পারেন অথবা মন চাইলে কালিমপং শহর টাও ঘুরে আসতে পারেন।
ফিক্কালে গাঁও :
উত্তরবঙ্গের এক নতুন অফবিট জায়গা ফিক্কালেগাঁও। ফিক্কালে_গাঁওকে Tourist Spot না বলে বলা যায় একটা অনুভূতি। এখানে বাসস্থান যেমন কম তেমনই শান্ত পরিবেশ। কালিম্পং থেকে মাত্র 10 কিমি দূরে, কিন্তু ভীড় থেকে দূরে, নির্জন, শান্ত পরিবেশে, দুর্দান্ত অফবিট জায়গা ফিক্কালে গাঁও। এখানে থাকলে কালিম্পং শহরের জীবন এবং সাইটসিন একটুও মিস করা যায় না কিন্তু থাকাটা হবে পুরোপুরি প্রকৃতির কোলে। আধুনিক সুবিধাযুক্ত ঘর থেকে অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্যর সাথে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে 80 কিমি দূরে অবস্থিত, গাড়িতে 3 ঘন্টা সময় লাগে। প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে এই গ্রাম কে, কি নেই এখানে, চারিদিকে সবুজ পাহাড়, রঙবেরঙের পাহাড়ি ফুল, নিচে বয়ে যাওয়া নদী, কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, মিস্টি পাহাড়ি হাওয়ার হিমেল ছোঁয়ায়, নাম না-জানা পাখিদের কলতানে মুগ্ধতার আবেশে আপনি আচ্ছন্ন হবেন-ই। যারা পাহাড় ও প্রকৃতি ভালোবাসেন, পাহাড়ে হারিয়ে যেতে মন চায় তাদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে ফিক্কালে গাঁও।
এখানে যেকোনো হোমস্টে তে বসে নিচে বয়ে যাওয়া নদী আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারন রূপ দেখতে পারবেন । এখানে থেকে ঘুরে নিতে পারেন কালিম্পং, লাভা, লোলেগাও, রিশপ, পেডং, সিলারিগাও, ইচ্ছেগাও, রামধুরা সহ আর অনেক কিছু।
সেবকেশ্বরী কালী মন্দির ও করোনেশন সেতু :
সেবকেশ্বরী কালীমন্দির, বর্তমানে এই স্থানে আসা পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে।সেবকের মূল রাস্তা থেকে পাহাড়ের উঁচুতে সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে সেবকেশ্বরী কালীমন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। বর্তমানে এই মন্দিরে দর্শনার্থীদের এবং পুণ্যার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীর এই ভিড়ে মাঝে মধ্যেই মিশে যান আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের প্রাক্তন এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও। জানা গিয়েছে, এখানে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এক আধিকারিক সেবক পাহাড়ে নিয়মিত ধ্যান করতেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শিলিগুড়ির কিছু বিশিষ্ট মানুষের।পরবর্তীতে তাদের মধ্য থেকেই কয়েকজন উদ্যোগী হয়ে ১৯৭৮ সালে গড়ে তোলেন "সেবকেশ্বরী কালী মন্দির"। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন সময়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শ্রীপবন কুমার চামলিং এই মন্দিরে অনেকবার এসেছিলেন। সিকিমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং এই বিখ্যাত কালী মন্দির দর্শন করে গিয়েছেন। পূণ্যার্থীদের বিশ্বাস এই কালী মন্দিরে মানত করলে তা বিফলে যায়না।
সেবকেশ্বরী কালী মন্দির থেকে কয়েক পথ হাঁটা পথেই রয়েছে তিস্তা নদীর উপর ব্রিটিশদের করা বিখ্যাত স্থাপত্য কীর্তি করোনেশন সেতু বা বাঘ পুল। ১৯৪১ সালে নির্মিত এই পুল সেবকের অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য মূলক জিনিস। এই ব্রিজের মাধ্যমেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের যোগাযোগ রক্ষিত হয়। পুলটির অপূর্ব স্থাপত্যকীর্তি আজও আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করে। সেবকে ঘুরতে আসলে সেবকেশ্বরী কালী মন্দির এবং করোনেশন সেতু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ না করলে মনে করবে তোমার সেবক আসাটাই উদ্দেশ্যহীন।
পাঁচদিনের দার্জিলিং ও কালিম্পং প্যাকেজ :
বাঙালির শান দার্জিলিং আর কালিম্পং এর কিছু বহু পরিচিত অথচ কলহল মুক্ত গ্রাম থেকে পাঁচদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন।
চিবো
প্রথম দিন - সকাল সকাল নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি অথবা বাগডোগরা থেকে আপনাদেরকে আমাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে সোজা পৌঁছে যাবে কালিম্পং জেলার এক অপূর্ব গ্রামে যার নাম চিবো। চিবো পৌঁছানোর আগে দেখে নিতে পারেন পাইন ভিউ নার্সারি, দুর্পিন ভিউ পয়েন্ট, দুর্পিন মনাস্ট্রি, মরগান হাউস ইত্যাদি। চিবোতেই করতে হবে আমাদের প্রথম রাত্রিবাস।
দ্বিতীয় দিন - ভোরবেলা উঠে একদিকে পাহাড়ি চাষের ক্ষেত আরেকদিকে অপূর্ব ভ্যালি দেখে আপনার মন চাইবে আরেকটা দিন থাকলে ভালো হতো। চিন্তা করবেননা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে গরম চায়ের কাপ হাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করার সুযোগ। প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়তে পারেন বার্মাইকের উদ্যেশ্যে। রাস্তায় একে একে দেখে নিতে পারেন ডেলো পার্ক, হনুমান টপ, বুদ্ধ পার্ক, জয় মাতা দি টেম্পল ইত্যাদি।
তৃতীয় দিন - আপনাদেরকে উঠতেই হবে ভোরবেলা কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় মহাজাগতিক সূর্যোদয় দেখার জন্য। তারপর অল্প ট্রেকিং ও করে নিতে পারেন পাইন বনের মধ্যে দিয়ে। গ্রামের মানুষ আর শান্ত পরিবেশ আপনাকে বলবে কয়েকদিন এখানেই বিশ্রাম করার জন্য। কিন্তু থামলে তো চলবেনা। পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে হাজারো নাম না জানা ভিউ পয়েন্ট অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য। এই দিন দেখে নিতে পারেন জলসা বাংলো ভিউ পয়েন্ট, ভালুখোপ অরণ্য, তিস্তা ব্রিজ, ত্রিবেণী, লাভার্স পয়েন্ট ও পেশক টি গার্ডেন। রাত্রিবাস করতে পারেন ছোটা মাংওয়াতে।
চতুর্থ দিন - ভোরবেলা চোখ খুলেই দেখবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এত কাছে চলে এসেছে যেনো মনে হচ্ছে আপনাকে আলিঙ্গন করে আছে। শীত কালে গেলে উপরি পাওনা হিসাবে কমলা লেবুর বাগান আপনাকে থেকে যাওয়ার জন্য বাধ্য করবে। ছোটা মাংওয়া থেকে বেরিয়ে একে একে দেখে নেবেন লামাহাটা, ঘুম স্টেশন ও ঘুম মনাস্ট্রী। রাত্রিবাস করবেন লেপচাজগতে।
পঞ্চম দিন - ট্রিপের শেষ দিন। মন খারাপের দিন। কিন্তু মন ভালো করার জন্য থাকবে অপূর্ব সুন্দর পাইন গাছের সারি। তারপর থাকবে জরপোখরি ও সীমানা ভিউ পয়েন্ট থেকে এবারের মত শেষ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ। থাকবে পশুপতি মার্কেটে কেনাকাটির সুযোগ। আরোও থাকবে গোপালধারা টি এস্টেটে সেলফি তোলার হাতছানি। আরও থাকবে মিরিক লেকে আপনজনদের সাথে বোটিং অথবা ঘোড়ার পিঠে চরার রোমাঞ্চ। দিনের শেষে এই বারের মত ট্রিপ শেষ করবেন নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি অথবা বাগডোগরাতে।
উপরের সমস্ত প্যাকেজ টি যেকোনো টুর এজেন্সী মাথাপিছু ৬০০০ থেকে ৮০০০ টাকায় সম্পূর্ণ করে দেবে।
FAQ:
Q. 1. Which 10 placess near Kalimpong?
Barmik, Raidara, Lava, Lolegao, Silari Gao, Ichhegou, Risav, Pedong, Kaghey, Fikkalgao.
#Tags:
Want to travel offbeat hilly tourist places near New Mal Junction.
Samthara & Lamdara